শুনানি স্থগিতের দাবি ক্যাবের
‘বিশেষ শক্তি সরকারকে গ্যাসের দাম বাড়াতে বাধ্য করছে’
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
২২-০২-২০২৫ ০৫:৪০:৫৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২২-০২-২০২৫ ০৭:২৬:৪৫ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
বিশেষ শক্তি সরকারকে শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বাড়াতে বাধ্য করছে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটি সংকটকালীন সময়ে মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবকে অশনিসংকেত হিসাবে দেখছে।
শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আমলে নিয়ে আগামী বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শুনানি ডেকেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ওই শুনানি স্থগিত করার দাবি জানিয়ে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্যাব। দাবি মানা না হলে সংগঠনটি থেকে শুনানিতে অংশ নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর কথাও বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধেই আন্দোলন হয়েছে, রক্তদান হয়েছে, রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। এমন অবস্থায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বৈষম্যমূলক প্রস্তাব অনুমোদন করে জ্বালানি বিভাগ বিস্মিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের সরকারের আচরণ যদি আগের সরকারের মতো হয় তাহলে আন্দোলন শুরুতেই ব্যর্থ মনে হবে। ৬ মাসে সরকারের দাম বাড়ানো, রপ্তানি শিল্পকে অস্থির করে তোলাটা অশনিসংকেত মনে হয়। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা দরকার, এটা ক্যাব বিশ্বাস করে না। নেপথ্যের কোনো শক্তি এটা করাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এম শামসুল আলম বলেন, বিইআরসি শুরুতেই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির আবেদন খারিজ করে দিতে পারত। শুনানির আগে উন্মুক্ত সভা ডেকে যৌক্তিকতা বিচার করা যেত। এখন কোনো উন্মুক্ত সভা করা হয় না। এটি ভোক্তা স্বার্থের পরিপন্থী। যেগুলো প্রতিরোধ করা বিইআরসির দায়িত্ব, সেগুলোকে তারা সুরক্ষা দিচ্ছে। তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর দিকে গেলে বিইআরসি গণশত্রুতে পরিণত হবে। তারা গণশত্রু হতে চাইবে না বলেই বিশ্বাস করতে চায় ভোক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সামনের গ্রীষ্মেও লোডশেডিং সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা নেই অন্তবর্তী সরকারের। এসময় বিইআরসির সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, সরকার পরিবর্তন হলেও বিইআরসির কোন গুনগতমানের পরিবর্তন হয়নি। ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ব্যবহার হওয়া গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব জুলাই চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক বলেও জানান বক্তারা।
ক্যাব বলছে, গত ১৫ বছরে প্রতিযোগিতা ছাড়া কাজ দেওয়া হয়েছে। লুণ্ঠনমূলক ট্যারিফ নির্ধারণ করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের খরচ বাড়ানো হয়েছে। এগুলো এখন আদালতে প্রতিষ্ঠিত। মূল্যবৃদ্ধির আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অযৌক্তিক ব্যয়, লুণ্ঠনমূলক খরচের হিসাব বের করতে বিইআরসির কমিটি করা উচিত বলছে ক্যাব। সেটি করার পর তার ভিত্তিতে খরচ কমিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম কমানোর প্রস্তাব করতে পারে বিইআরসি। শেষ মুহূর্তে হলেও বিইআরসি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির শুনানি স্থগিত করবে বলেও আশা প্রকাশ করছেন ক্যাব নেতারা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স